Thursday, 4 April 2013

হে মিডিয়া, তুমি শুয়োরকে করেছো মহান



শাহরিয়ার কবীর, যার এককালের আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গী তাকে একাত্তরে পাকিস্তানীদের কাছে মুরগী সাপ্লাইয়ের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন, তিনি ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম দিবসে ছাত্রদের উপর হামলার পর শেখ মুজিবের কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।

১৯৯২ সালে গোলাম আজমকে জামাত নায়েবে আমীর ঘোষণা করার পর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কাজী নুরুজ্জামানের উদ্যোগে গঠন করা হয় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি। খোদ বিএনপি'র সাংসদেরাও তখন গোলাম আজমের নায়েবে আমীর হওয়ার বিরোধীতা করেন।

ঘাদানিকের দাবী ছিল যৌক্তিক কারণ গোলাম আজম তখনও বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে বৈধতা পায়নি। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন বিএনপি সরকার গোলাম আজমকে গ্রেপ্তারও করে।

ঘাদানিকের সাথে শুরুর দিকেই যোগ দেয় শাহরিয়ার কবীর। কিন্তু শাহরিয়ার কবীর তখন রূপান্তরিত হয়েছেন এক খাঁটি আওয়ামী লীগারে। শাহরিয়ার কবীরদের কারণে মূল উদ্দেশ্য থেকে ঘাদানিক সরে আসতে থাকে শুরু করে।

আওয়ামী লীগপন্থী বিচারপতি হাবীবুর রহমান গোলাম আজমকে বাংলাদেশের নাগরিক ঘোষণা করার পর ঘাদানিক রূপান্তরিত হয় একটা নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে।

১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগ-জামায়াত জোট বাঁধতেই ঘাদানিক গর্তে লুকায়। শাহরিয়ার কবীর আর সৈয়দ হাসান ইমাম এসময় এসময় ঘাদানিকের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিভক্ত করে দেয় ঘাদানিককে। এখনও সৈয়দ হাসান ইমামকে ঘাদানিকের সাথে দেখা যায় না শাহরিয়ার কবীরের সাথে সেই সংঘাতের কারনে। এই হচ্ছে এদের আদর্শের দৌড়।

ঘাদানিকের সদস্যরা জাহানারা ইমামকে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে উৎসাহিত করতেন আর এই শাহরিয়ার কবীর-সৈয়দ হাসান ইমাম গং বাঁধা দিতেন। ফলে জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর একে একে সরে পড়তে থাকেন প্রকৃত প্রগতিশীলেরা। ডক্টর আহমদ শরীফ, যিনি প্রথম থেকেই ঘাদানিকের সাথে জড়িত ছিলেন, এই নোংরা রাজনীতি দেখে গণ-আদালতী আসামী হয়েও ঘাদানিক থেকে সরে দাঁড়ান। সংগঠন টিকিয়ে রেখে টাকা-পয়সা আদায়ের জন্যে ঘাদানিক এসময় বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করলেও যুদ্ধাপরাধীদের নাম আর মুখে নিত না।

এরপর থেকে যখনই আওয়ামীলীগ বিপদে পড়ে তখনই হাজির হয় এই ঘাদানিক, আর এর পুরোধা শাহরিয়ার কবীর। যার সর্বশেষ নিদর্শন দেখা গেল গতকাল।

No comments:

Post a Comment