আজ ২৫ মার্চ। জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও গণহত্যার ইতিহাস আছে। সেই চিত্রই তুলে ধরা হলো এই আয়োজনে।
আর্মেনীয় গণহত্যা
আর্মেনিয়া ইউরোপের একটি দেশ। জাতিগত আর্মেনীয়রা নিজেদের ‘হায়’ বলে থাকে। আর্মেনিয়ার ৯০ শতাংশ মানুষ এই ‘হায়’ জাতির। ১৯১১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯২২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুর্কিরা আর্মেনীয়দের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। তিন বছর ধরে চলা এই গণহত্যায় সে দেশের ১৫ লাখ মানুষ মারা যায়। সে সময় আর্মেনিয়ার জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩৪ লাখ।
আর্মেনিয়া ইউরোপের একটি দেশ। জাতিগত আর্মেনীয়রা নিজেদের ‘হায়’ বলে থাকে। আর্মেনিয়ার ৯০ শতাংশ মানুষ এই ‘হায়’ জাতির। ১৯১১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯২২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুর্কিরা আর্মেনীয়দের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। তিন বছর ধরে চলা এই গণহত্যায় সে দেশের ১৫ লাখ মানুষ মারা যায়। সে সময় আর্মেনিয়ার জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩৪ লাখ।
হলোকাস্ট ও ন্যানকিং গণহত্যা
হলোকাস্ট শব্দটা বাংলা করলে দাঁড়ায় সবকিছু পোড়ানো। তবে শব্দটি এখন জার্মান সেনাদের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ হত্যাকেই বোঝায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের ওপর চালানো এই গণহত্যাকে স্মরণকালের সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যা হিসেবে ধরা হয়।
হলোকাস্ট শব্দটা বাংলা করলে দাঁড়ায় সবকিছু পোড়ানো। তবে শব্দটি এখন জার্মান সেনাদের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ হত্যাকেই বোঝায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের ওপর চালানো এই গণহত্যাকে স্মরণকালের সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যা হিসেবে ধরা হয়।
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই ইহুদিদের ওপর জার্মান বাহিনীর খড়্গ নেমে এসেছিল। তবে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যা ঘটে, সেই নৃশংসতাকে কোনো শব্দ দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়। জার্মান বাহিনী ১৯৪১ সাল নাগাদ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ দখলে নেয়। তখন জার্মানিতে ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও নরওয়েতে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ মানুষ।
অনেক ইহুদিকে বন্দী করে পাঠানো হয় পোল্যান্ড ও জার্মানির বন্দিশালাগুলোতে।
এসব বন্দিশালাতেই কখনো গুলি, কখনো গ্যাস কিংবা কখনো রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয় কয়েক লাখ ইহুদিকে। বন্দিশালায় অত্যধিক পরিশ্রম, খাবারের অভাব আর চিকিৎসার অভাবেও মারা যায় বহু ইহুদি।
এসব বন্দিশালাতেই কখনো গুলি, কখনো গ্যাস কিংবা কখনো রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয় কয়েক লাখ ইহুদিকে। বন্দিশালায় অত্যধিক পরিশ্রম, খাবারের অভাব আর চিকিৎসার অভাবেও মারা যায় বহু ইহুদি।
এই নৃশংসতম গণহত্যায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতিবছর ২৭ জানুয়ারি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট দিবস।
একই সময়ে আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা ‘দ্য ন্যানকিং ম্যাসাকার’ কিংবা ‘রেইপ অব ন্যানকিং’ নামে অনেকের জানা। ১৯৩৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৯৩৮ সালের জানুয়ারির শেষ ভাগ পর্যন্ত জাপানি সেনাবাহিনী চীনের তৎকালীন রাজধানী ন্যানকিং শহরটিকে একদম গুঁড়িয়ে দেয়। প্রচুর পরিমাণে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড ও লুটতারাজ চলতে থাকে। এই অল্প সময়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লাখ। বলা হয়ে থাকে, সেই যুদ্ধে এক তলোয়ারে ১০০ মানুষকে জবাই করা হতো।
No comments:
Post a Comment